সোমবার, জানুয়ারি ২, ২০২৩




সূতা চুরির মামলায় সহযোগীরা গ্রেফতার হলেও অধরা মাস্টারমাইন্ড

বিশেষ সংবাদদাতা:
মানিকগঞ্জ থেকে সূতা চুরির পর নংসিংদীর মাদবধী থেকে চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে গ্রেফতারকৃত চোরাই চক্রের ৩ সদস্যের বাসা হলো নারায়ণগঞ্জে এবং অপর জনের বাড়ি নরসিংদীর মধাবদীতে। এ চুরির ঘটনায় সহযোগী চালক রমজান, রিপন মিয়া, রাকিব হোসেন ও আব্দুল আলীম গ্রেফতার হলেও নেপথ্যে থাকা মাস্টারমাইন্ড এখনো রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
গত বছরের জুলাই মাসের ৫ তারিখে মানিকগঞ্জ থেকে ২০০ ব্যাগ সূতা নিয়ে কভার্ডভ্যানযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইব্রাহীম ট্রেক্সাইল মিলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তবে ডেলিভারীকৃত সূতা নির্দ্দিষ্ট সময় অতিক্রম হওয়ার পর গন্তব্যস্থলে না পৌছালে ট্রান্সপোর্টের মালিক মো: মামুন হোসেন চালক রমজানের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারেনি। তাদেরকে না পেয়ে তিন দিন পর মধাবদী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করেন ট্রান্সপোর্ট মালিক। যার জিডি নং-৪৭৩। পরবর্তীতে ওই জিডির পর মানিকগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ট্রান্সপোর্টের মালিক মামুন হোসেন। মামলার সূত্র সূত্র ধরে পুলিশ মাদবদী এলাকার একটি গোডাইন থেকে চুরি যাওয়া সূতা উদ্ধার করে। এসময় মালামাল যার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অর্থাৎ মো: রাকিব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য ৩ জন অর্থাৎ রমজান, রিপন মিয়া ও আব্দুল আলীমকে পালাক্রমে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে থেকে কেউ জামিনে এসছে আবার কেউবা কারাগারে রয়েছে।
বিশ^স্ত সূত্রে জানা গেছে, সূতা চুরির মূলে রয়েছে শক্তিশালী কয়েকটি সিন্ডিকেট। এরমধ্যে অন্যতম একটি সিন্ডিকেট নারায়ণগঞ্জে সক্রিয় রয়েছে। ওই সিন্ডকেটের মাস্টারমাইন্ড হলো মাসুদ রানা ও মিজান বলে জানা গেছে। যিনি সদর উপজেলার শিহাচর এলাকায় বসবাস করে। ঘটনার দিন গভীররাতে মাসুদ রানা রিপনকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। চুরি করা সূতা বিক্রির জন্য দায়ীত্ব দেয়া হয় রিপন সহ রমজানকে। আর তারাই কৌশলে নরসিংদীর মধাবদী এলাকার ব্যবসায়ী রাকিব হোসেনের কাছে সূতা বিক্রি করে।
এ বিষয়ে ট্রান্সপোর্টের মালিক মামুন হোসেন জানান, সূতা নিয়ে কভার্ডভ্যানযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইব্রাহীম ট্রেক্সাইলে যাওয়ার কথা ছিলো চালক রমজানের। কিন্তু সে সময়মত না পৌছানোর কারনে তাকে ফোন করা হয় কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে মধাবদী থানায় জিডি করা হয়। এরপর মানিকগঞ্জ সদর থানায় আমরা একটি মামলা দায়ের করি। এতে রমজান নামের চালককে আসামী করি। এরপর পুলিশ বাকিদেরকে গ্রেফতার করে মামলার চার্জশিট দেয়। তবে এর নেপথ্যে যদি আরও কেউ থেকে থাকে তাহলে আমি আদালতে নারাজি দিবো। তবুও অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়।
মামলার প্রধান আসামী চালক রমজানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধীকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া য়ায়নি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদাৎ হোসেন জানান, এ ঘটনায় আমার মামলা নিয়েছি। এবং মামলায় জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক আদালতে প্রেরন সহ চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। তবে এর নেপথ্যে অর্থাৎ মাস্টারমাইন্ড যারা তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

Spread the love
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − fifteen =

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর