রূপগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে লকডাউনের তৃতীয় দিনে সেনাবাহিনীর সাথে মাঠে ছিলেন রূপগঞ্জের সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড আতিকুল ইসলাম। রবিবার দুপুর ৩ টায় উপজেলার ভুলতা গোলাকান্দাইল বাজার এলাকায় ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালানো হয়। এসময় আতিকুল ইসলাম ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ৩ টার পর দোকান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান, তার নির্দেশনা কেউ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন।
উল্লেখ্য রবিবার দুইটা পর্যন্ত ভুলতা ও গোলাকান্দাইল চৌরাস্তার সকল স্ট্যান্ডগুলোতে ছিলো রিক্সা, অটো, সিএনজি, লেগুনাতে আসা যাত্রীদের ভীড়। আর পাড়া মহল্লায় ছিলো মানুষের ব্যাপক আনাগোনা, প্রায় প্রতিটি দোকানে ১০/১৫ জন করে আড্ডায় বসে চলছিলো লকডাউন নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালচনা।
রূপগঞ্জে লকডাউনের তৃতীয় দিনে হাইওয়ে পুলিশ ছাড়া ২ টা পর্যন্ত কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। রবিবার দুপুরে উপজেলার গোলাকান্দাইল চৌরাস্তায় এসে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
২ টা পর্যত উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকার সকল পাড়া মহল্লায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকানগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে মানুষের ভীড়। এলাকাবাসী জানান উপজেলা প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় এ অবস্থা হয়েছে। নজরদারী না থাকায় এলাকার পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে মানুষদের ভীড় আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে।
বাতেন নামে এক পথচারী বলেন উপজেলা প্রশাসনের নজরদারী নেই। তাই তাদের উপস্থিত না থাকায় এ অবস্থা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড (এসি ল্যান্ড) আতিককুল ইসলামকে গত কয়েকদিন মাঠে তার উপস্থিতি এবং কর্মকান্ড অনেক ভালো।
বেলা ২ টার দিকে হাইওয়ে পুলিশের এসআই রাসেদুলকে দেখতে পাওয়া যায়। তার কাছে লকডাউন না মানার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা লকডাউন পালনে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের স্রুত ঠেকাতে হিমশিম খাছি।
সচেতন মহল বলেন ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকায় সরকারের বেধে দেয়া বিধিনিষেধগুলো বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনকে গত তিন দিন কঠোর ভুমিকায় দেখা গেলেও তিনটার পরও চলছিলো বাজারগুলো। তবে নিদিষ্ট সময়ের পরও বাজার খোলা থাকে এ নিয়ে চলছে মিশ্রো প্রতিক্রিয়া।
সরকারের দেয়া ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে একেবারেই ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়। তবে এই এলাকায় সকাল থেকেই মানুষের ঘুরাফেরার মাত্রা বাড়তে দেখা যায়। তিন টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার খোলার সুযোগ পেয়ে ব্যবসায়ীরা রাত ১০ টায় বাজারগুলো বন্ধ করেনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড এসি ল্যান্ড আতিকুল ইসলাম গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে কয়েকটি গাড়িকে মামলা দেন, কয়েকটিকে জরিমানা করেন। চলাচলরত মানুষজনকে লকডাউন মেনে চলতে অনুরোধ করেন। এছাড়া রাস্তায় গাড়ি বের না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি।
তবে এ দায়িত্ব পালন করায় সচেতন মহল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড আতিকুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্যারের মতোই প্রশাসনের সবাইকে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর ভুমিকা নিতে হবে। তাহলে লকডাউনের সুফল পাওয়া যাবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট শফিকসহ কয়েকজন সদস্য।
Leave a Reply