নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিনঃ
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে মাসুম বিল্লাহ বাহিনী ও রিয়াজ বাহিনীর সন্ত্রাসী তান্ডবে উভয় পক্ষের ২জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আরো তিন জনের পরিচয় জানা যায়নি। আহত রিয়াজ বাহিনীর রিয়াজ মাছুমপুর এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে। অন্য জন হলেন বাগ মোচড়া এলাকার সেকেন্দারের ছেলে কামাল। তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া হয়েছে।
সন্ত্রাসীরা বাগ মোচড়া, নতুন বাজারসহ পুরো এলাকায় তান্ডব চালিয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায় সন্ত্রাসীরা কয়েকটি ঔষধের দোকান, মুদি দোকান, চায়ের দোকানে দেশীও অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করে ২টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় গোলাকান্দাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চায়ের দোকান্দার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমার দোকানে রাম দা দিয়ে কয়েকটা কোপ দেয় ও প্রাণে মারার হুমকি দিলে দোকান রেখে পালিয়ে গিয়েছি। ডাক্তার সাব্বির হোসেন বলেন আমাকে কিছু না বলে দোকানে ঢুকেই কয়েকটা গ্লাস ভাংচুর করে চলে যায়।
৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার নাসির উদ্দীন বলেন, আমার ভাই নূর আলমের বাড়িতে ঢুকে ঘরের জানালা দরজা কুপিয়ে চলে যায়, কাউকে চিনতে পারিনি। নিজের নিরাপত্তার অভাবে তিনি বের হননি বলে জানান। এলাকা বাসি জানান, রিয়াজ প্রেম করে বিবাহ করায় বাড়িতে থাকতে না পেরে গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় তার পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতো। ওসময় থেকে স্থানীয় মাসুম বিল্লাহ বাহিনীর সদস্য রনি, মাসুদ, মাসুম, শরিফ, আরিফের সাথে মাদক ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম টিসুকে নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আর টিসুর সেল্টারদাতা হিসাবে কাজ করতো রিয়াজ। সুত্র আরো জানায়, রিয়াজ কিছু দিন আগে এখান থেকে বাসা ছেড়ে চলে যায়। আসবাবপত্র নিতে আজ হোন্ডায় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ভাড়ার বাসায় ঢুকার সাথে সাথে মাসুম বিল্লাহ বাহিনীর লোকজন রিয়াজকে কুপিয়ে জখম করে।
এ সংবাদ টিসু রিয়াজের লোকজনকে জানানোর পরই দেশীও অস্ত্র নিয়ে ২০/২৫ জনের একটি বাহিনী এলাকায় ঢুকে তান্ডব চালাতে থাকে। তাদের তান্ডবের শিকার হয় পথচারীসহ ব্যবসায়ীরা।
রিয়াজ বাহিনীর লোকজন এসময় বাগ মোচড়া এলাকার সেকেন্দারের ছেলে কামালকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা আহত কামালকে প্রথমে ইউএস বাংলা হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করে। রিয়াজ ও কামাল উভয়ই আশংকাজনক অবস্থা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এসআই মেহেদি হাসান জানান আমরা যাওয়ার আগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গিয়েছে। রিয়াজ সহ চার পাঁচ জন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। মুলত মাসুম বিল্লাহ ও রিয়াজ বাহিনীর তান্ডব চালিয়েছে।
এসআই মেহেদি হাসান জানান আমরা যাওয়ার আগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। শুনেছি কয়েকজন আহত হয়েছে তবে একজন গুরুতর আহত হয়েছে।
Leave a Reply