নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন :
১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ^ ভালোবাসা দিবস ও ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পাড় করছে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ফুল চাষীরা। তবে দিনে দিনে চাষের জমিতে বাড়ি-ঘর নির্মান হওয়ায় ভবিষ্যতে দীর্ঘদিনের এ শিল্প টিকে থাকবে কি না তা নিয়ে সঙ্কায় চাষিরা। এদিকে ফুল চাষীদের সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন কৃষি অফিসার।
প্রায় তিন যুগেরও বেশী সময় ধরে বংশ পরমপরায় ফুল চাষ করে আসছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সাবদী ও লক্ষনখোলা এলাকার ফুল চাষীরা। ফুল চাষ করেই তারা তাদের জীবন ও জীবীকা নির্বাহ করছেন। আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তার্জাতিক মাতুভাষা দিবসকে সামনে রেখে বন্দর উপজেলার প্রায় ৮০ হেক্টর জমিতে এবার ফুলের চাষ হরা হয়েছে। এবার তাদের উৎপাদিত ফুল বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে চান তারা। এবছর চাষীরা চাষ করেছেন, গাধা,চেরী, ডালিয়া,কেলেনডোলা,ঝারবেরা, গোলাপ ও ষ্টার সহ বিভিন্ন ফুলের। তবে চাষের জমিতে বাড়ি ঘর নির্মান হওয়ায় সামনের বছর ফুল চাষ নিয়ে অনেকটা সঙ্কায় রয়েছে চাষিরা। এদিকে ফুলের সৌন্দয্য দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসেন সাবদী ও লক্ষনখোলা এলাকায়। পরিবার পরিজন নিয়ে একটু শান্তির নি:শ্বাস ফেলতে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। প্রিয় জনের জন্য উপহার স্বরুপ ক্রয় করেন। এমনকি ফুলের বাগানে গিয়ে তোলেন ছবি। এই শিল্প টিকিয়ে রাখতে সরকারের কাছে সহযোগীতা চেয়েছেন ফুল পাগল মানুষ ও চাষীরা। এখানকার ফুল নারায়ণগঞ্জ জেলার চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদনের একটি বড় অংশ চলে যায় শাহবাগ এলাকায়।
স্থানীরা জানান, সরকারি ও বেসরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই শিল্প আরও অনেক দূও এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় চাষীরা।
ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, ফুলের বাগানে এসে অনেক ভালো লাগে এবং রং বে রংয়ের ফুলের বাগানে ছবি তুলে মুগ্ধ হন দর্শনার্থীরা।
চাষীরা জানান,: এবছর লাভের মুখ দেখবেন তারা এবং জমিতে বাড়ি-ঘর নির্মান হওয়ায় সামনের বছর ফুল চাষ করা হবে কি না তা নিয়ে রয়েছে সংসয় চাষীদের।
বন্দর উপজেলার সহকারী কৃষি সম্প্রসারন অফিসার চন্দ্র দাস বলেন, চাষীদেরকে সার্বিক সহযোগীতা সহ নানা প্রতিবন্ধকতা হলে তা দেখার আশ্বাস দিলেন এই কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পানি নস্কিাশন সহ চাষীদের সমস্যাগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ^সাস দিয়েছেন।
Leave a Reply