মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫




বন্দরে মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কে নিয়মিত ছিনতাই 

নিজস্ব সংবাদদাতা:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদগঞ্জ টু মদনপুর সড়কে হরহামেশাই ঘটছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। তবে এ ধরনের ঘটনায় প্রশাসনের তেমন কোনো নজরদারী নেই বলে দাবী করেছেন ভুক্তভুগী ও স্থানীয় বাসীন্দারা।

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন যাবত বন্দরের মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের মনার বাড়ি, তালতলা, লক্ষনখোলা এবং ঢাকেশ্বরী এলাকায় নিয়মিত ঘটছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। এতে করে জনমনে রীতিমতো আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।  এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) রাত আনুমানিক ১২ টা ৩০ মিনিটে কুড়িপাড়া মেলা থেকে ফেরার পথে নবীগঞ্জ মোল্লা বাড়ি নিবাসী ব্যাবসায়ী নূর ইসলাম এবং সঙ্গী আইয়ুব আলী বাড়ি ফেরার পথে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের কাছে পৌছালে অজ্ঞাত ৩/৪ জন অস্ত্রধারী অটো থামিয়ে হামলা চালায়। এমতাবস্থায় অটো চালক ভয়ে দুরত্ব বজায় রাখলেও ব্যাবসায়ী নূর ইসলামের উপর হামলা চালায় চিলতাইকারীরা। এসময় তার সঙ্গে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা এবং হাতের মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। কিন্তু সাথে থাকা আইয়ুব আলী এবং আরও একজন অজ্ঞাত যাত্রীকে ছিনতাইকারীরা চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে সাথে থাকা টাকা-পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। অতঃপর ছিনতাইকারীরা স্থান ত্যাগ করলে আহত আইয়ুব আলী, নূর ইসলাম এবং অজ্ঞাত ব্যাক্তি নারায়ণগঞ্জ ৩০০ ষয্যা হাসপাতালে(খাঁনপুর) জরুরী বিভাগে তাতক্ষনিক চিকিৎসা নেয়। কিন্তু আহত আইয়ুব আলী এখনো গুরুতর অবস্থায় খাঁনপুর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ঘটনা পরবর্তী সরেজমিনে ঐ এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এখানে ডাকাত মামুন এবং ছিনতাইকারী সুমন গ্রুপ রাত হলেই তালতলা, মনারবাড়ি, ঢাকেশ্বরী ও লক্ষনখোলা এলাকায় ছিনতাই করে। এদের বিরুদ্ধে বন্দর থানা সহ নামে বেনামে জেলার বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি সহবেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তবে পুলিশ এদেরকে ধরছে না বলেই এই চক্রটি রাতে নিরীহ মানুষদের জখম করে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এর আগে বেশ কয়েকটি অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।

ভুক্তভুগীরা জানায়,  চুরি ও ছিনাতাইয়ের ঘটনায় থানা পুলিশের কোনো সহযোগীতা পাওয়া যায় না। রাতে পেট্এরল টিমও থাকে না ্নএ্কই সড়কটিতে।  অভিযোগ করলেও সময় ক্ষেপন ছাড়া কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না বলেও আক্ষেপ করেন অনেকে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান,  আমরা এব্যাপারে কিছু জানিনা, তবে এই ঘটনায় যথাযত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে বলে গতানুগতিক জবাব দেন তিনি।

সচেতন মহল জানান, ৫ আগষ্টের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ জনগনের কাছ থেকে অনেকটা দূরে সরে গেছে। এমনকি পুলিশের তেমন কোনো ততপরাত চোখেও পরেনি। ভুক্তভুগীরা কোনো অভিযোগ করলেও থানা তেমন কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। এ কারনে দিন দিন অপরাধ প্রবনতা বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হবে বলেও মনে করছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 3 =

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর