মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫




ফতুল্লায় আওয়ামী লীগের দোষর তৈয়ব এখন বিএনপির নিয়ন্ত্রক

 

নিজস্ব সংবাদদাতা:

আওয়ামী লীগের পতনের পরে সারাদেশ জুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা তান্ডব ও লুটপাট চালিয়েছে এমন হাজার হাজার অভিযোগ রয়েছে । আর এ ধরনের ঘটনার সবচেযে বেশি খবর পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় । আর এই লুটপাটে সরাসরি কিছু বিএনপি নেতা ও আওয়ামী লীগের দোষরা জড়িত ছিলো বলে প্রমান পাওয়া গেছে । এরকমই একজন আওয়ামী লীগের আমলে আমির হোসেন আমুর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে দাবরিয়ে বেরিয়েছে ফতুল্লা থানাধীন পূর্ব সেহাচর এলাকার বরিশাইল্লা তৈয়ব ম্যানেজার অন্যতম‌। বর্তমানে সে ফতুল্লার সেই রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুর বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে এখন দাবরিয়ে বেরাচ্ছে।

ততকালীন সময়ে আমির হোসেন আমুকে সেহাচরের লাঁলখা এলাকার এনে তিনি যে আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন নেতা তার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছিলো। ওই পরিচয়ে নারায়ণগঞ্জের সাবেক প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সাথে ছবি দেখিয়ে ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে প্রভাব বিস্তার করেছে। শুধু তাই নয় এই তৈয়ব ম্যানেজার মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও শামীম ওসমানের ডান হাত শাহ নিজামের সাথে মিলে জমি দখল, বিএনপির নেতাদের ধরপাকর সহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছে বলেও জানা গেছে ।

এই তৈয়ব ম্যানেজার একসময়ে ছিলো এক সময় এ্যাডভান্স কারখানার মালিক আনোয়ার সাহেবের বাসায় বাজার করতো। এরপর ধীরে ধীরে মালিকের বিশ্বস্ত হয়ে পরে ম্যানেজার পদ ছিনিয়ে নেয়। এরপর সে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায় তৈবব। এই তৈয়বের আরও একটি পরিচয়ও রয়েছে যে, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোস্তফা কামালের বেয়াই। এবং পরে অর্থাত ৫ আগষ্টের পর কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি পরিচয় দিয়ে পুরো দাবরীয়ে বেরাচ্ছে। বর্তমানে সে স্টেডিয়াম সংলগ্ন , উকিলবাড়ি, তক্কারমাঠ সহ বিভিন্ন এলাকায় শিল্প কারখানা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক মালামাল নামাচ্ছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া জমি দখল ও লুটপাটের ঘটনাতো আছেই।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই তৈয়ব ম্যানেজার বিগত সময় ফতুল্লা থানাধীন লালখা এলাকায় এডভান্সড নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছিলো। তবে কিছদিনের মধ্যে সে আলাদিনের চেয়াগ বনে যায় কোটি কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক । এছাড়া আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের সাথে মিলে অত্র এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছে । এরপর আওয়ামী সরকারের পতনের পর ও ৫ আগষ্টের পর তিনি রাতারাতি পাল্টি খেয়ে বনে যান বিএনপি নেতা। বর্তমানে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর শেল্টারে এখনো লুটপাট, জমি দখল , জোরপূর্বক অন্যোর জমিতে অবৈধ মেলা বসানো সহ ওই আমলের মত ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে বলেও জানান অনেকেই ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তৈয়ব ম্যানেজার জানান, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা কামাল আমার বেয়াই হওয়ার কারনে বিভিন্ন সময় তার বাসায় মেহমান আসলে আমাকে যেতে হয়েছে। সে আমার বেয়ােই হওয়ায় অনেকেই আমাকে আওয়ামী লীগ জড়িয়ে কথা বলছে। আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে তার বাসায় আনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে আমার দেশি এমপি এ কারনে তাকে ও ইলিন ভুক্রেটাকে দাওয়াত দিছিলাম তারা এসেছেন। এছাড়াও সাবেক এমপি ও স্বরাট্রমন্ত্রীর সাথে ছবির প্রসঙ্গে জানান, বেয়াই মোস্তফার স্প্রীড সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শামীম ওসমানের।

এবিষয়ে সদ্য দায়ীত্ব পাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুৃন মাহমুদ “নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিনকে জানান, যারা অন্য দল থেকে এসে বিএনপির নাম ব্যববহার করে অন্যায় করবে তাদের বিরুদ্ধে তো দল ব্যবস্থা নেবেই এমনটি দলীয় কারো বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দীষ্ট অভিযোগের প্রমান পেলেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, যারা এতোদিন স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার দলে থেকে নানা অপকর্ম করে এখন আবার বিএনপির সাথে মিলেছে তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। কারন এদের কোনো দল নেই এরা যে যখন পাওয়ারে থাকবে তাদের সাথে মিশে সুবিদা নিবে এবং বদনাম করবে। তাই বিএনপির নেতাকর্মীরাও সজাগ থাকতে হবে ওদের বিরুদ্ধে। আর যে বিএনপি নেতা ওই স্বৈরাচারের দোষরদেরকে দলে নেবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 2 =

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর