নিজস্ব সংবাদদাতা:
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আজ রবিবার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। প্রথম ধাপের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শুরু হয় আজ রবিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে আর শেষ হয় ৯টা ৩৯ মিনিটে। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটেছে।
মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। মোনাজাতে লাখ লাখ মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে তুরাগ প্রান্তর। মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। এ ছাড়া মানুষের মধ্যে হেদায়েত, আরোগ্য লাভ, কবরবাসীদের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
আখেরি মোনাজাতের আগে চলে প্রথম পর্বের প্রথম দফার হেদায়েতি বয়ান। যারা ইজতেমার ময়দান থেকে এক চিল্লা ও ৩ চিল্লার জন্য জামাতে বের হবেন, তারা জামাতে গিয়ে কী আমল করবেন এবং মহল্লায় যারা এখান থেকে ফিরে যাবেন, তারা নিজ এলাকায় গিয়ে কী আমল করবেন তার দিকনির্দেশনা হেদায়েতি বয়ানে তুলে ধরা হয়। হেদায়েতি বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন।
এই বয়ানের পরেই ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা নসিহতমূলক বয়ান করেন। তার বয়ান তরজমা করেন শুরায়ী নেজামের শীর্ষ মুরুব্বি বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের এবং আখেরি মোনাজাতে দোয়া পরিচালনা করেন তিনি। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী ও আশপাশ এলাকার কলকারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। মোনাজাতকে ঘিরে মানুষের ঢল বাড়তে শুরু করে।
এর আগে, ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বাদ ফজর থেকে আমবয়ান, জিকির আসকার ও ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন মুসল্লিরা। মুসল্লিদের উদ্দেশে শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশেদ। বয়ানের সঙ্গে সঙ্গে বাংলায় তর্জমা করেন বাংলাদেশের মুফতি উসামা ইসলাম। সকাল ১০টায় তালিম হয়। এরপর ওলামাদের উদ্দেশে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।
Leave a Reply