শনিবার, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫




ফতুল্লা থানার এসআই ইমানূরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ায় মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা:
ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার আমলে গোপালগঞ্জের পরিচয়ে দাবরিয়ে বেরানো নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমানূরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে একজন ভুক্তভোগি। এবছরের ২২ জানুয়ারী হাসান মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার আমলী আমলী ২নং আদালতে ওই দারোগার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সি আর মামলা নং-৪০/২০২৫ ইং। পরে মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নিদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত ২০২১ সােল থেকে ২০২৩ ইং সাল পর্যন্ত জেলার ফতুল্লা থানায় দায়ীত্ব পালনকালে অভিযুক্ত এস আই ইমানূর শিবু মারকেট এলাকায় ৪ শতাংশ জমি দখল সংক্রান্ত জটিলতা সমাধান করে দেয়ার কথা বলে গত ২৫ অক্টোবর ২০২৪ সালে নগদ ৭০ হাজার টাকা নেয়। বাদীর কাজ না করে উল্টো আসামীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ারও অভিযোগ করে হাসান মাসুদ রানা। পরর্তীতে কাজ না করেই তার বদলী হয়। এরপর তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে টালবাহানা করে।

স্থানীরা জানিয়েছে, বিগত ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ ইং সাল পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নিজেকে গোপালগঞ্জের ছেলে এবং আওয়ামী পরিবারের লোক পরিচয়ে ফতুল্লা থানায় বহাল করেছেন প্রভাব বিস্তার সহ ঘুষ বানিজ্য। স্থানীয় বেশ কজন আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে যোগ সাজস করে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদেরকে হয়রানী সহ গ্রেফতার বানিজ্য করেছে। রয়েছে কয়েকজন লোভী বিশেষ পেশার লোকের সাথে সখ্যতা। বর্তমানে সে পরিচয় পাল্টে নিজেকে বাগেরহাটের পরিচয় দিয়ে নতুন আঙ্গীকে দাবরিয়ে বেরাচ্ছে পুরো এলাকা জুড়ে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী হাসান মাসুদ রানা জানান, দারোগা ইমানূর একজন ঘুষখোর ও খারাপ প্রকৃতির লোক। বিগত সরকারের আমলে দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন অন্যায় কাজ কতরেছে। সে আমার কাছ থেকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সমাধান করার কথা বলে টাকা নিয়েছে। টাকা চাওয়ার সে আমাকে মিথ্যা মাশরা দেয় হয়রানী সহ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ কারনে তার বিরুদ্ধে আমি আদালতে ন্যায় বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেছি। আমি টাকা ফেরত ও ন্যায় বিচার শাস্তি চাই।

ঘটনার বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ইমানূর জানান, বিষয়টি সত্য নয়। তার কাছ থেকে টাকা নেয়া এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার কথা সম্পূর্ন মিথ্যা। সে কেনো এই মামলা করলো সেটা সেই ভালো বলতে পারবে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলামের মুঠো ফোনে কল করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর