নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন :
বৈশম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ সরকারের নিদ্দেশে পুলিশের গুলিতে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবারগুলো। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হত্যার ঘটনায় মামলা হলেও সেখানে মেখ হাসিনা সরকারের হ্যাভি ওয়েটদেরকে আসামী করা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশকে আসামী না করার কারনে অনেক স্বজনেরা আপত্তি জানিয়েছেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আন্দোলন চলাকালীন ২১ জুলাই চিটাগাং রোড শিমরাইল এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় মাছ ব্যাবসায়ী মিলন মিয়া নামের এক যুবক। এ ঘটনার পর গত ১৮ আগষ্ট নিহত মিলনের স্ত্রী শাহানাজকে থানায় নিয়ে নিজেদের ইচ্ছে খুশি মত আসামী দিয়ে মামলা রুজু করে বিএনপি নেতা ও থানা পুলিশ। মামলা নাম্বার ০৭ (১৮) ২৪। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ তার সরকারের মন্ত্রী-এমপি সহ জেলা পর্যায়ের নেতাদের নাম উল্লেখ করে ৬২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর গত ৩১ জুলাই গোপন তথ্য পাওয়া যায় যে, নিহত মিলন মিয়ার স্ত্রী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলার বিষয়ে আপত্তি সহ নারাজী দিয়েছেন আদালতে। সেখানে তিনি পুলিশ সাবেক আইজপি, ডিআইডজি, এসপি, ওসি সহ থানার সকল অফিসারদের বিরুদ্ধে হত্যা মাপমলার অভিযোগ এনেছেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিককে ফোন করা হলে তিনি এসব বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান ’নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন’কে।
এদিকে শাহানাজের পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ সেপ্টেমবার পটুয়াখালীর দুমকীতে দাফনকৃত মিলনের মরদেহটি উঠিয়ে ময়নাতদন্ত করানো হবে এবং মিলন হত্যার ঘটনায় প্রকৃত দোষীদেরকে শাস্তির আওতায় আনার কথা জানায় পরিবারের সদস্যরা।
Leave a Reply