নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে আল আমিন (৪২) নামের এক সৌদি প্রবাসীকে হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করেছে আপন চাচাতো ভাই।
পূর্ব শত্রুতার জেরে বৃহস্পতিবার রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে নিহতের পরিবার জানিয়েছে। শুক্রবার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের বালুরচর এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর শুক্রবার সকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সুজন মিয়াকে সোনারগাঁ থানা পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় মেঘনা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহত আল আমিন সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দী গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে।
নিহত আল আমিনের ভগ্নিপতি হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দী গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে সুজন মিয়ার সঙ্গে তার আপন চাচাতো ভাই আল আমিনের পূর্ব শত্রুতা ছিল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়। গত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে আল আমিন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে প্রবাসী আল আমিনকে ডেকে নিয়ে যান সুজন মিয়া। মেঘনা উপজেলার বিভিন্ন চরে বেড়ানো শেষে সন্ধ্যার পর হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে থেঁতলে হত্যা করেন প্রবাসীকে। হত্যার পর সুজন বাড়ি ফিরে আসেন। তার কাছে আল আমিনের কথা জানতে চাইলে এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে আল আমিন পালিয়ে গেছে বলে বাড়ির সবাইকে জানান। তার কথা-বার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় সন্দেহ হয় বাড়ির লোকজনের। পরে চাপ প্রয়োগ করলে একপর্যায়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
পরে তাকে আটক করে সোনারগাঁ থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর তার দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী লাশ চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের বালুরচরে খুঁজে পায় তার পরিবার। লাশ পাওয়ার পর মেঘনা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শুক্রবার বিকেলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) মহসিন বলেন, সৌদি প্রবাসী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুজন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হলে তাকে সেখানে হন্তান্তর করা হবে।
মেঘনা থানার ওসি দেলায়ার হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
Leave a Reply