নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ঢাকেশ্বরী এলাকার মামুন ওরুফে ডাকাত মামুনের আতংকে আতংকিত পুরো বন্দর থানার মানুষ। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যেই ঘুরে বেরাচ্ছে ভয়ংকর এই ডাকাত। থানা পুলিশের কাছে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে খবর দেয়া হলেও তাকে ধরা যাচ্ছে না বলে জানায় পুলিশ। এদিকে প্রতিদিন রাতেই মামুনের ডাকাত দল পিক-আপ নিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করছে বলেও জানা গেছে। ঈদ আসলে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে যায় সে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ডাকাত মামুন ওরুফে ফতু ডাকাত মদনগঞ্জ টু মদনপুর রোডে দীর্ঘদিন যাবত চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছে। শুধু তাই নয় তার নামে রয়েছে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলাও। প্রায় দুই ডজন মামলার আসামী শুধু ডাকাতি নয় এখন সে প্রকাশ্যেই মাদক বিক্রিও করছে বেরাচ্ছে দেদারছে। তবে আরও জানা যায় সে থানা পুলিশের এক কনস্টেবল মমিন নামের একজনের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করে বিশেষ সুবিধা নিচ্ছে। সেই মমিন পুলিশ তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা মাসোয়া নেয় এমন অভিযোগও আছে। থানা থেকে টিম ডাকাত মামুনকে ধরতে গেলে আগেই তাকে খবর দিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করে সেই মমিন এমন প্রমানও মিলেছে নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিনের হাতে। গত ৪ এপ্রিল রাতে বন্দর থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয় ডাকাত মামুন ডাকাতির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে। এমন খবর পেয়ে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম নিয়ে মামুন ডাকাতের বাড়ি সামনে যায়। এরমধ্যে মমিন পুলিশ ডাকাত সদ্দার মামুনের কাছে ম্যাসেজ পৌছে দিলে সে তার দলবল সহ পালিয়ে যায়। যে কারনে ওই ডাকাতকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে তার ঢাক্বেশ্বরীস্থ বাড়িতে গিয়ে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ডাকাত মামুনের বাড়ি আসি। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। সে পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে অভিযান চলবে।
এদিকে ব্যাবস্থা নেয়া সহ তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা।
স্থানীয়রা জানান, ডাকাত মামুন প্রকাশ্যেই ঘুরে ফিরে ডাকাতি সহ নানা অপকর্ম করছে। তাকে মাঝে মধ্রে পুলিশ ধরতে আসলেও পারছে না। কারন থানা পুলিশের কয়েকজনের সাথে তার সখ্যতা রয়েছে। সে মাসোয়ারা দেয় কয়েকজন পুলিশকে তাই তাকে ধরতে পারে না। থানা কোন অফিসার মামুনকে ধরতে আসলে তার আগেই খবর তার কাছে পৌছে যায়। এই ভয়ঙ্কর ডাকাত সরদারকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী স্থানীয়দের।
Leave a Reply