নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের লক্ষনখোলা বালুর মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট জেলা প্রশাসন কর্তৃক বন্ধ করায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইজারাদার সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুনের। প্রশাসন
অবৈধ ঘোষণা করে হাট বন্ধ করায় সে অর্ডারের মাধ্যমে ২৭ লক্ষ টাকা ফেরত পেতে ইজারাদার সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের দ্বারে ঘুরছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ১৯ টি হাটের অনুমোদন চেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। যাচাই বাছাই করে জেলা প্রশাসন নাসিককে ১৬ হাটের অনুমোদন দেয়। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা না মেনে একক সিদ্ধান্তে ২৫ নং ওয়ার্ডের হাটটি ইজারা প্রদান করে। নাসিকের ইজারা কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে ইজারাদার সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সর্বচ্চো দরদাতা নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু উক্ত হাঁটটি ইজারা পাওয়ার থেকে নাসিক ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন ও তার বড় ভাই হেলাল হাজি সহ ৫০/৬০ জনের সংঘ বদ্ধ ইজারাদার সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন সহ তার আত্মিয় হালিম সাউদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং হাটের সমস্ত জিনিস পত্র ভাংচুর করে ফেলে। এ ঘটনাটি বন্দর থানার ওসি ও পুলিশ সুপার ও সিটি করপোরেশনের মেয়রকে জানানো হলেও তেমন কোন ব্যাবস্থা নিতে দেখা যায় নি। পরবর্তীতে গত ২২ জুন দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন হাটটিকে সম্পূর্ণ অবৈধ ঘোষণা করে বন্ধ করে দেয়। এর আগে পর্যন্ত ইজারাদার নাসিক থেকে কোনো কাগজপত্র তুলতে পারেনি।
এখন ইজারাদার কখনো সিটি কর্পোরেশন কখনো জেলা প্রশাসন
এর কার্যালয়ে ঘুরছেন কিন্তু কোন সুরাহা পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা সেলিনা হায়াৎ আইভী জানান, হাট জেলা প্রশাসন বন্ধ করেছে, আমরাতো বন্ধ করিনি। এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে দেয়া যাবে না।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, এ বছর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ১৯ টি হাটের তালিকা আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। এরমধ্যে ১৬ টি হাট ইজারা দেওয়ার জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়। যেহেতু জেলা এই হাটের অনুমোদন দেয়নি সেই কারনে হাটটি অবৈধ ঘোষণা করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ইজারাদার জানান, জেলা প্রশাসন
ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে কি সমস্যা সেটাতো আমার জানার বিষয় নয়। আমি হাট করতে গিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন গংদের হাতে হামলার শিকার হয়েছি। এমনকি কাউন্সিলর গ্রুপ আমার বাঁশ সহ যাবতীয় জিনিস পত্র ভাংচুর করে ফেলেছে। একাধিক বার থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ সুপার ও সিটি কর্পোরেশনকে জানানোর পরেও উনারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর হঠাৎ করে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন গত ২২ জুন দুপুরে নাসিক ২৫ নং ওয়ার্ডের লক্ষনখোলা বালুর মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় আমার সর্বমোট ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন এই টাকা সিটি কর্পোরেশন আমাকে ফেরত দেয়া সহ ক্ষয়ক্ষতির টাকা ফিরিয়ে দিবে এ প্রত্যাশা করছি। তা না হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Leave a Reply