মঙ্গলবার, জুলাই ২৮, ২০২০




বাউফলে এক ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিনঃ

এম নিয়াজ মোর্শেদ পটুয়াখালী ব্যুরো:

বাউফলের এক ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন এই গ্রেফতারী পরোনা জারি করেছেন। এছাড়াও তিনি পৃথক এক আদেশে বাউফলের অনিবন্ধিত ভুয়া চিকিৎসকদের একটি তালিকা প্রণয়ন করার জন্য বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। অপর দিকে বাউফলের সাহেদা গফুর ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতালের অপর এক চিকিৎসকে তার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাহমুদা বেগম নামের এক চিকিৎসক বাউফল থানার জি আর ১৭১/২০ মামলায় হাজতি আসামি মোঃ ইব্রাহীম এর পক্ষে একটি ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেনে। ওই ব্যবস্থা মামলার নথিতে সংযুক্ত করে আদালতে উপাস্থাপন করা হয়। আদালত চিকিৎসকের ওই ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দেখেন তিনি কোন এমবিবিএস ডিগ্রিধারী ডাক্তার নন এবং ‘‘বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০” এর অধীন নিবন্ধিত নন। উক্ত ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসক তার ডিগ্রী হিসেবে “বিভিডিএ, ঢাকা” উল্লেখ করেন। মাহমুদা বেগম ওই ব্যবস্থাপত্র প্রদান করে আইন লংঘন ও দন্ডনীয় অপরাধ করেন। তাই আদালত সোমবার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোনা জারি করেন। পাশাপাশি বাউফলের অনিবন্ধিত ভুয়া চিকিৎসকদের একটি তালিকা প্রণয়ন করার জন্য বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন এবং তাকে সহযোগিতা করা জন্য বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।
অপর দিকে একই দিন বাউফলের কালাইয়া সাহেদা-গফুর ইব্রাহীম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সুব্রত কুমার মহলদা কে পরবতী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল চিকিৎসা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তার সকল চিকিৎসা সনদ যাচাই বাছাই করে দেখার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহাকে প্রধান করে দুই সদস্যর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্য হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম সায়েম ।
উল্লেখ সাহেদা-গফুর ইব্রাহীম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সুব্রত কুমার মহলদার নিজেকে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দিয়ে ওই হাসপাতালে প্রসূতি মায়েদের সিজার অপারেশন করে আসছেন। অথচ তিনি কোন গাইনীর চিকিৎসক নয়। তিনি একজন অলটারনেটিভ (ইউনানী- আর্য়ুবেদিক) চিকিৎসক। তার বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন সনদসহ রোগীকে অজ্ঞান করার সনদ নেই।

Spread the love
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × two =

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর