নিজস্ব সংবাদদাতা :
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন। সরকারদলীয় অংগসংগঠনের সেক্রেটারি হওয়ার সুবাদে পুরো রূপগঞ্জ উপজেলা এলাকায় তার রাজত্ব। মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের শেল্টার দেয়াসহ তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই এলাকাবাসীর।
সারাদেশে শুদ্ধি অভিযান চলাকালীণ সময়ে কিছুটা আড়ালে থাকলেও বর্তমানে আবার এসেছেন প্রকাশ্যে। আর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পুনরায় এসব অপকর্মের শেল্টারদাতা হিসাবে তার নাম উঠে আসে এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, যুবলীগের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান শাহিনের অন্যতম সহযোগী জাহিদুল ইসলাম গত ১৮ জানুয়ারী বরপা বাস স্ট্যান্ড থেকে চাঁদাবাজির সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
এরপরই মুখ খুলতে শুরু করে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীরা বলেন, শুধু জাহিদুলই নয় এমন আরো অসংখ্য সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দেন শাহিন। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন আনোয়ার ও সানোয়ার দুই ভাই। এ দুই সহোদর আনোয়ার ও সানোয়ার যুবলীগ সেক্রেটারী শাহীনের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্য দিবালোকে মাদক ব্যবসাসহ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। তার শেল্টারেই রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চলছে মাদকরে রমরমা ব্যবসা ও সেবন। এছাড়াও রূপগঞ্জের যতগুলো বাস, টেম্পো, অটোরিক্সা স্ট্যান্ড রয়েছে এর সবগুলোতেই চাঁদাবাজির জন্য লোক রয়েছে সেক্রেটারী শাহীনের এমনটাই জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব স্ট্যান্ডের ড্রাইভারদের অনেকে।
এছাড়াও গতবছর গাজীপুরের একটি গার্মেন্টস এর এক্সপোর্টের মাল বোঝাই একটি ট্রাক উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। সুত্রে জানা যায়, ঐ ঘটনাতেও ট্রাক চুরির ঘটনায় যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান জড়িত ছিলো। তবে প্রভাবশালী মহলের চাপে ও বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে সে যাত্রায় পার পেয়ে যায় মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন এমনটাই দাবী সুত্রটির। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, যুবলীগ নেতা শাহীন তার এলাকার যুবকদের দিয়ে নানান অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন।
এলাকাবাসী আরো জানায়, ধীরে ধীরে মাদকের ভয়াল ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে রূপগঞ্জের যুব সমাজ। বাড়ছে নানা মাত্রার অপরাধ। যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সীরা মাদকাসক্ত হয়ে মাদকের অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে নানা আতঙ্ক ও শংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এখানকার অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষ। এখনই এসব অপরাধ ও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ দমনে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে এসব অপরাধীরা একসময় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তারা। আর তাই রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এসব ভয়ঙ্কর অপরাধী ও তাদের শেল্টারদাতাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
Leave a Reply