মো: সহিদুল ইসলাম শিপু:
হেফাজত ইসলামের আন্দলের মুখে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া মদের বার ব্লু পেয়ার বন্ধ হলেও অদৃশ্য শক্তির বলে পুরোদমে চলছে মদনপুরে শাইরা গার্ডেনের অনৈতিক কর্মকান্ড। প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল প্রদর্শন করে প্রতিনিয়ত চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। শাইরা গার্ডেনের অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শাইরা গার্ডেন বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের হেদায়েতপাড়ায় অবস্থিত। ফারুক আলম নামে এক ব্যাক্তি এ গার্ডেন এন্ড রিসোর্টটির প্রতিষ্ঠাতা। প্রায় ৩০ বিঘা জমির উপর নির্মিত এ গার্ডেনটি। গার্ডেনের প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে ৫০ টাকা। গার্ডেনটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন জনৈক ওমর ফারুক নামে এক ব্যাক্তি। কিন্তু অর্থের লোভে এই রির্সোটটি মিনি পতিতালয় ও মাদকের আখড়া হিসেবে গড়ে তুলেছে কর্তৃপক্ষ। অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বেশ কিছু মাস পূর্বে শাইরা গার্ডেনটি সীলগালা করা হলেও অদৃশ্য শক্তির বলে আবারও মিনি পতিতালয় হিসেবে পুনরায় চালু হয়েছে। এখন আরো বীরর্দপে চলছে মাদকসহ দেহ ব্যবসা। স্থানীয় প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় জনগনের মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা। দেখার যেন কেউ নেই ?। সরেজমিন ও এলাকাবাসী সাথে আলাপ কালে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার উত্তরাঞ্চলের এখাবাসী কাছে শাইরা গার্ডেনটি আর্শিবাদ না হয়ে অভিশাপে পরিনত হয়েছে। মদনপুর এশিয়ান হাইওয়ে রাস্তার পূর্ব দিকে বিশাল একটি এরিয়া নিয়ে শাইরা গার্ডেন অবস্থিত। বিনোদনের নামে আবাসিক হোটেলের মতই ব্যবহার হচ্ছে এই রির্সোটটি। বিনোদন নামে কটেজ ভাড়া দেয়া হয়। প্রতিটি রুমে ১টি বেড, টিভি, টেলিফোনসহ সার্বিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে এখানে। প্রতিটি রুমের জন্য রির্সোটে আসা লোকজনদের কাছ থেকে এ বাবদে নেওয়া হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। এখানে স্কুল ও কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের বেশী আনাগোনা বলে জানিয়েছে ওই খানকার এলাকাবাসী। কামতাল তদন্ত কেন্দ্র ও হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে করে চালাচ্ছে এ অপর্কম। এক সময়ে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাম এ নিয়ে জোড়াল প্রতিবাদ করলেও বর্তমানে তার ভূমিকা রহস্যঘেরা। শাইরা গার্ডেনের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বন্দরে সচেতন মহল। জানা গেছে, বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কার্যালয় ও নাজিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ এবং রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপরিত সড়কের প্রায় ৩’শ গজের মধ্যে শাইরা গার্ডেন অবস্থিত। যেখানে বিনোদনের নামে সব সময় চলে অশ্লিন কর্মকান্ড। যা নিয়ে বন্দর উপজেলার সর্বচ্চ ফোরাম আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় একাধিকবার উত্তাপিত হয়। গত রমজান মাসে গাউসুল আজম শাইরা গার্ডেনে অভিযান চালিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকাকে কটেজ থেকে আটক করা হয়। সাথে সাথে তিনি জরিমানা পূর্বক শাইরা গার্ডেনটি সীলগালা করেন। সীলগালা বেশী দিন থাকেনি। শাইরা গার্ডেন পরিচালক অদৃশ্য শক্তি বলে পুনরায় শাইরা গার্ডেনটি চালু করে। শাইরা গার্ডেনের অনৈতিক কর্মকান্ডের বন্ধের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বন্দরে সচেতন মহল।
Leave a Reply