বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে ব্রক্ষ্মপুত্র নদে প্রথমবারের মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই সময় নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা ১৫টি অবৈধ ডকইয়ার্ড, ১টি অটোরাইস মিলের অবৈধ স্থাপনা ও একটি গাছের গুড়ির পাইলিং উচ্ছেদ করা হয়। গত ২ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব জামিলের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযান কালে ওই সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ ও মোঃ নূর হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এছাড়া পুলিশ, নৌ পুলিশ ও আনসার সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর উভয় তীরে বেশ কিছু অবৈধ ডকইয়ার্ড, রাইস মিল গড়ে উঠেছে। যার মধ্যে ব্রক্ষ্মপুত্র নদে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মোহনপুর এলাকায় চার কন্যা নামের একটি অটো রাইস মিল গড়ে তুলে ছিলেন পীর জাকির শাহ। প্রায় ১ বছর আগে ওই অটো রাইস মিলটি পীর জাকির শাহ প্রবাসী মেহেদী হাসানের কাছে বিক্রি করে দেন। এই চার কন্যা অটো রাইস মিলটি ব্রক্ষ্মপুত্র নদের তীর দখল করে গড়ে উঠেছিল। এছাড়া শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকাতেও কমপক্ষে ১৫টি ডকইয়ার্ড অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। এছাড়া এ সকল অটোরাইস মিল ও ডকইয়ার্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীর তীর ব্যবহার করে লোড আনলোডের জন্যও কোন লাইসেন্স সংগ্রহ করেনি। যে কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বছরের পর বছর ওই সকল প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল জানান, বুধবার ব্রক্ষ্মপুত্র নদটির উভয়তীরে ১৫টি অবৈধ ডকইয়ার্ড, ১টি রাইস মিলের অবৈধ স্থাপনা ও ১৫টি অবৈধ ডকইয়ার্ড ও একটি গাছের গুড়ির পাইলিং উচ্ছেদ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিএস জরিপ মোতাবেক আমাদের উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে।
Leave a Reply